নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে কারা, কীভাবে আইনটির বাস্তবায়ন করছে, তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
এদিকে গতকাল রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশ নতুন আইনে মামলা করেনি। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেনি। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার আইনি প্রক্রিয়া শেষে গতকাল গেজেট হয়েছে। ফলে আটটি ভ্রাম্যমাণ আদালত আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) থেকে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন বিআরটিএর পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মাসুদ আহমেদ।
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে নতুন সড়ক পরিবহন আইন নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় রোববার (১৭ নভেম্বর) ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আইনের বাস্তবায়ন দুই সপ্তাহ আমরা একটু শিথিল করেছিলাম। অনেকে হয়তো জানে না, কোন অপরাধ, কোন বিশৃঙ্খলার জন্য কী শাস্তিটা পেতে হবে। তার জন্য আমি দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছি। এখন আজ (রোববার) থেকে আমাদের এই আইন কার্যকর হবে।’
উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর করে সরকার। তবে নতুন আইনে মামলা ও শাস্তি দেওয়ার কার্যক্রম মৌখিকভাবে দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দেন সড়কমন্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, নতুন সড়ক আইনে ১৪টি অধ্যায় রয়েছে। প্রথম অধ্যায়ে আইনে থাকা বিভিন্ন বিষয়ের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এর পরের অধ্যায়গুলোতে যানবাহন ও চালকের যাবতীয় দলিল সংগ্রহ এবং করণীয় সম্পর্কে বলা আছে। এরপর বিআরটিএসহ পরিবহনসংশ্লিষ্ট সংস্থার কার্যক্রম সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া কী করলে আইন অমান্য হয়, তার বর্ণনা আছে। আর শেষের দিকে আইন অমান্যের দায়ে কী শাস্তি হবে, সেটার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। যানবাহন, চালক ও প্রতিষ্ঠানসম্পর্কিত অধ্যায়গুলোতে আগের আইনের চেয়ে খুব বেশি পার্থক্য নেই। ফলে যানবাহনের নিবন্ধন প্রদান, ফিটনেস সনদ হালনাগাদ, চালকের লাইসেন্স প্রদানসহ দৈনন্দিন কাজ নতুন আইন ও পুরোনো বিধিমালার আলোকে চলছে।
ট্রাফিক পুলিশের মামলা না দেওয়ার বিষয়ে সড়কমন্ত্রী বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা আনার লক্ষ্যে গঠিত টাস্কফোর্সের বৈঠক হবে ২৪ নভেম্বর। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেবেন। শুরুতে আইন প্রয়োগে কিছুটা শিথিলতা দেখানো হবে, এমন ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্দেশনা দেবেন যাতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ হয়। প্রথমবারই বড় জরিমানা হয়ে যাবে, তা নয়। এমনও হতে পারে, অপরাধ কম হলে জরিমানাটা এক হাজার টাকা হবে। আবার এটা বারবার করলে সেখানে জরিমানাটা বাড়বে।