ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশের অনুলিপি পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে বিচারপ্রার্থীদের সরবরাহ করতে র্যাবসহ সব ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় জনবল ও আনুষঙ্গিক (লজিস্টিক) সহায়তা নিশ্চিতে স্বরাষ্ট্রসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার (১ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতের তলবে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম আদালতে হাজির হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমে জনবল স্বল্পতার কথা জানানোর প্রেক্ষাপটে আদালত ওই আদেশ দেন।
এর আগে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশের চার মাসেও প্রত্যয়িত অনুলিপি না পাওয়ার প্রেক্ষাপটে এক দণ্ডিত ব্যক্তির করা রিটের শুনানিতে গত ১৮ নভেম্বর হাইকোর্ট এ বিষয়ে জানাতে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমকে ১ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ অনুসারে তিনি আজ আদালতে হাজির হন। আদালত তাঁর বক্তব্য শোনেন।
আদালতে সারওয়ার আলমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
আর রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি আদালতকে জানান, ইতিমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেওয়া আদেশের কপি পেয়েছেন তাঁরা।
অন্যদিকে সারওয়ার আলমের পক্ষে তাঁর আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। শুনানির পর আদালত পর্যবেক্ষণসহ রুলটি নিষ্পত্তি করে দেন।
প্রসঙ্গত, সাজা দেওয়ার ৪ মাস পরও অনুলিপি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে মো. মিজান মিয়া গত ১৭ নভেম্বর রিটটি করেন। এর আগে চলতি বছরের ১৮ জুলাই অভিযান চালিয়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মিজান মিয়াকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের তপু এন্টারপ্রাইজ নামের একটি পশুখাদ্য প্রস্তুতকরণ কারখানার ব্যবস্থাপক মিজান।