মানবপাচারের অভিযোগে করা মামলার বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ বিষয়ে করা মামলা তদারকি করতে কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীরপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জামান আক্তার বুলবুল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।
গত বছর রামুর হাজিপাড়ার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম (৪১) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে একটি পিটিশন মামলা করেন। মামলায় রামুর চাকমারকুল এলাকার ওই শিশুসহ ৬ জনকে আসামি করেন। ঘটনা দেখানো হয় ২০১৪ সালের ২০ জুন রাত এবং ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর।
অভিযোগে বলা হয়, বিনা খরচে মালয়েশিয়ায় ভালো বেতনে কাজ দেবে বলে ওই বছরের ২১ জুন সাগরে ছোট নৌকা দিয়ে জাহাজে তুলে দেওয়া হয়। কয়েকদিন পরে জাহাজ থেকে থাইল্যান্ডে উপকূলীয় পাহাড়ের জঙ্গলে নামিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে দালালরা মারধরে মুক্তিপণ দাবি করে। মোবাইল ফোনে স্বজনদের কাছ থেকে ওই শিশুসহ এক ও দুই নম্বর আসামি দুই লাখ টাকা নেন। পরে আরও এক লাখ টাকা নেওয়ার পর মালয়েশিয়া পৌঁছান নুরুল ইসলাম। ২০১৭ সালের জুন মাসে মালয়েশিয়া অভিযানকালে তিনি আটক হন। এক বছর জেল খাটার পর দেশে ফেরত এসে মামলা করেন।
পরে হাইকোর্টে আবেদন করে ২৮ অক্টোবর জামিন পান ওই শিশু। পরে ১৮ নভেম্বর তার মা এ রিট করেন।