মাদারীপুর, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জের ৬ জন মুক্তিযোদ্ধার ভাতা পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ আদেশের ফলে ওই ৬ জন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
পৃথক দুটি রিট আবেদনের ওপর জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে মুক্তিযোদ্ধাদের রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম মাতুব্বর ও অ্যাডভোকেট মো. জাহিদ চৌধুরী জনি।
পরে অ্যাডভোকেট মো. জাহিদ চৌধুরী জনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গতকাল শনিবার (১৪ নভেম্বর) ছিল বুদ্ধিজীবী দিবস এবং আগামীকাল সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস। এরই মধ্যে আজ (১৫ ডিসেম্বর) এই রায় এসেছে। এর ফলে মুক্তিযোদ্ধা সূর্যসন্তানদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে বলে বিশ্বাস করছি। এ কারণে রায় ঘোষণাকালে আদালতও বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দেশের সূর্যসন্তান। সঠিক প্রক্রিয়ায় যাচাই-বাছাই না করে কোনও মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না।’
এর আগে, ২০১৭ সালে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ভুয়া সনদধারী মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে বের করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একটি রিপোর্ট দেওয়া হয়। পরে মন্ত্রণালয় তাদের ৪৭তম সভায় ওই রিপোর্টটির অনুমোদন করে গেজেট প্রকাশ করে। ফলে কোনোরকম আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেওয়ায় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। পরে এসব মুক্তিযোদ্ধা একই বছরের নভেম্বরে গেজেটটির বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্ট রিট আবেদন করেন। মাদারীপুরের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান ফকিরসহ ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জের ৬ মুক্তিযোদ্ধা বাদী হয়ে রিটটি দায়ের করেন।
আদালত ওই রিটের শুনানি নিয়ে রিটকারী ৬ মুক্তিযোদ্ধার ভাতা কেন পুনর্বহাল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন। এরপর ওই রুল যথাযথ ঘোষণা করে আজ রায় দিলেন হাইকোর্ট।