1576587565.jpg

সখিপুরের ইউএনও-ওসিকে সতর্ক করলেন হাইকোর্ট

তলবে হাইকোর্টে হাজির হয়ে টাঙ্গাইলের সখিপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। এরপর আদালত তাদের সতর্ক করে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর তাদেরকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে তথ্য না দিয়ে তার পরিচয় যাচাই এবং রিট আবেদনকারীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তলব করেন হাইকোর্ট। সে অনুসারে তারা মঙ্গলবার হাজির হন।

আদালতে তাদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম ফয়েজ। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন তপু গোপাল ঘোষ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল প্রহলাদ দেবনাথ ও মোহাম্মদ সাইফুল আলম।

মোহাম্মদ সাইফুল আলম বলেন, ইউএনও আমিনুর রহমান ও ওসি মো. আমির হোসেন আদালতে তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে উপস্থিত হন। এবং নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের কৃতকর্ম আর করবেন না বলে আদালতে প্রতিশ্রুতি দেন। আদালত তাদেরকে সতর্ক করে দেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের কৃতকর্ম যেন না করেন। আদালত অবজারভেশনে বলেছেন- মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের (পুলিশ বা সরকারি কর্মকর্তা) আরও বেশি মানবিক হওয়ার জন্য তাদের নৈতিকতার বিষয়ে ট্রেনিং প্রয়োজন। এটা যেন ব্যবস্থা করা হয়।

১০ ডিসেম্বর তপু গোপাল ঘোষ জানান, টাঙ্গাইলের সখিপুরের গজারিয়ার একটি সরকারি পুকুর ইজারায় সর্বোচ্চ দরদাতা অপু আহমেদকে না দিয়ে তার চেয়ে কম দরদাতাকে দেওয়া হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অপু আহমেদ হাইকোর্টে রিট করেন। পরে আদালত এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তাকে খোঁজ খবর নিতে বলেন।

মোহাম্মদ সাইফুল আলম বলেন, ইউএনও এ বিষয়ে তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। উনি ওসি সাহেবকে বলেন আইন কর্মকর্তার আইডেন্টিটি ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করার জন্য। আজকে মামলার যে বাদী অপু আহমেদ তাকে ফোন করে তারা ধমক দিচ্ছেন, সে কেনো ঢাকায় অবস্থান করছেন। ব্যাপারটা হাইকোর্টের নজরে আনার পর আদালত আদেশ দেন। আদেশে ইউএনও-ওসিকে ব্যক্তিগতভাবে হাজিরের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ওই ইজারা কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা জারির আদেশ দিয়েছেন।