1577801481.jpg

ফিরে দেখা সুপ্রিম কোর্ট: পর্ব-২

দেশের বিচারাঙ্গনের ইতিহাসে ঘটনাবহুল বছর ২০১৯ সাল। এ বছরে এমন সব ঘটনা সুপ্রিম কোর্টে ঘটেছে যা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। সালতামামির আজকের প্রতিবেদনে থাকছে অসদাচরণের অভিযোগে তিন বিচারপতির ছুটি, ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডিত সব শিশুর মুক্তি এবং যুদ্ধাপরাধী এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় নিয়ে ‘ফিরে দেখা সুপ্রিম কোর্ট: পর্ব-২’

অসদাচরণের অভিযোগে তিন বিচারপতির ছুটি
২২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতিকে বিচারিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়। অভিযুক্তরা হলেন বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, কাজী রেজা-উল হক এবং একেএম জহিরুল হক। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এই তিনজন বিচারপতির বিরুদ্ধে পেশাগত অসদাচরণের বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে তাদের বিচারকার্য থেকে বিরত থাকার আদেশ দেয়। এর পর তারা ছুটির আবেদন করেন। তাদের আবেদন মঞ্জুর করা হয়।

মোবাইল কোর্টে সাজা: সব শিশুকে মুক্তির নির্দেশ
গত ৩১ অক্টোবর বিভিন্ন অপরাধে মোবাইল কোর্টে সাজাপ্রাপ্ত শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা সব শিশুকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর মধ্যেক ১২ বছরের কম বয়সি শিশুদের তাৎক্ষণিক মুক্তি ও ১২ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সি শিশুদের ছয় মাসের জামিনে মুক্তির নির্দেশ দেয়া হয়।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে স্বপ্রণোদিতভাবে এ আদেশ দেন। আদালতে প্রতিবেদনটি নজরে আনেন ব্যা রিস্টার মো. আব্দুল হালিম ও অ্যাপডভোকেট ইশরাত হাসান।

আজহারের মৃত্যুদণ্ড বহাল
বিদায়ী বছরের ৩১ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সংখ্যা গরিষ্ঠতার তার ভিত্তিতে এ রায় ঘোষণা করেন। অন্য তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান।