পরিবেশ অধিদফতরের অনুমতি ছাড়া টায়ার পোড়ানো এবং ব্যাটারি রিসাইক্লিং বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রাজধানীর মার্কেট এবং দোকানের বর্জ্য প্যাকেট করে রাখতে এবং মার্কেট ও দোকান বন্ধের পর ওই বর্জ্য সিটি করপোরেশনকে অপসারণ করাসহ ৯ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
রাজধানীর বায়ু দূষণ রোধ সংক্রান্ত মামলার শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এসব নির্দেশনা দেন।
সেই সঙ্গে বায়ু দূষণ রোধে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে ব্যাপারে ব্যখ্যা দিতে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালককে তলব করা হয়েছে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি তাকে হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন মনজিল মোরসেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন সাইদ আহমেদ রাজা।
বায়ূ দূষণ রোধে হাইকোর্টের ৯ দফা নির্দেশনা হচ্ছে
আদেশের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সাংবাদিকদের বলেন, নির্মল বায়ু ও পরিবেশ রক্ষায় বিশ্ব ব্যাংকের ৩শ কোটি টাকার যে প্রকল্প ছিল সেটি পরিবেশ অধিদফতর কিভাবে ব্যয় করেছে, পরিবেশ উন্নয়নে কী ধরনের ভূমিকা রেখেছে, এতে জনগণ কী ধরনের সুফল পাচ্ছে অর্থাৎ পুরো প্রকল্পের টাকা কীভাবে ব্যয় হয়েছে তা সবিস্তারে ব্যাখ্যা দিতে পরিবেশ অধিদফরের ডিজিকে তলব করেছেন আদালত।
ঢাকার বায়ু দূষণ নিয়ে গণমাধ্যমে গত বছরের ২১ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে এ রিট করা হয়। এই রিটের ধারাবাহিকতায় সোমবার এসব নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।