1584807058.jpg

করোনার ঝুঁকিতে ঢাকার নিন্ম আদালতের বিচারক, আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার চরম ঝুঁকির মধ্যে থেকে কাজ করতে হচ্ছে ঢাকার নিম্ন আদালতের সাধারণ আইনজীবী ও বিচারকদের। ভীষণ ঝুঁকি নিয়ে আদালতে আসতে হচ্ছে বিচার প্রার্থীরাদেরও।

আইনজীবীরা বলছেন, আদালত খোলা থাকার কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী ঢাকার নিম্ন আদালতে আসছেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর জন্য আদালত এলাকায় কোনো ধরনের প্রস্তুতি নেই। মামলার শুনানির সময় এমন অবস্থা দাঁড়ায় যে, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলা একেবারই অসম্ভব।

আদালতে কর্মরত আইনজীবী ও কর্মচারীদের এখন একটাই জিজ্ঞাসা, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আদালত বন্ধ ঘোষণা করা হবে কবে?

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী নজিবুল্লাহ হিরু বলেন, প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিচারপ্রার্থীরা আদালতে আসছেন। আসছে ছোট ছোট শিশুও। আদালত এলাকায় করোনাভাইরাস ঠেকানোর প্রস্তুতি নেই। কোনোভাবে যদি এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে তা ভয়ংকর আকার ধারন করবে। সাধারণ আইনজীবী ও বিচারকেরা ঝুঁকির মধ্যে কাজ করছেন।

এইদিকে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষায় উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে পরবর্তী অবকাশকালীন ছুটি স্থানান্তর করে এখনই ছুটি কার্যকর চেয়ে বুধবার একটি রিট আবেদন করেন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব।

একই সঙ্গে আইনজীবীরা সরব ফেইসবুকেও। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজীম আল ইসলাম তার ফেইসবুক ওয়ালে এক স্ট্যাটাসে লেখেন- ‘আমাদের দেশের সবকিছুই এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী না হয় হাইকোর্ট কাউকে নির্দেশনা দিতে হয়। কেউ কেউ বলছে হাইকোর্টে নাকি যেয়ে রাষ্ট্রকে ছোট করা হচ্ছে। হাইকোর্টে মানুষ এমনিতেই যায়না। নিজের পকেট থেকে ১০/১২ হাজার টাকা খরচ করে এমনিতেই জনস্বার্থ মামলা করেনা। মানুষ যখন তার আইডিয়া আর সর্বস্ব দিয়ে রাষ্ট্রকে সহযোগিতা করতে চায় তখনি হাইকোর্টের দারস্থ হয়। এটা রাষ্ট্রের জন্যই ভালো। উচ্চ পর্যায়ের কেউ কেউ বলছেন জরুরী হলে হেন করব তেন করব…প্রশ্নটা হচ্ছে কতটা জরুরী প্রয়োজন? আমরা জনগন চিল্লাই। চিল্লাই দেশকে ভালোবাসি বলেই, মার্কেট পাওয়ার জন্য না।’