সংসদে পাসের প্রত্যাশায় ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন ২০১৯‘ এর খসড়া সংসদীয় ককাসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দেশের শতাধিক বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত ‘জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম’ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পার্লামেন্টারিয়ান ককাস অন চাইল্ড রাইটসের কাছে হস্তান্তর করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া আইনটির ওপর গুরুত্বরোপ করে বলেন, ‘এই আইনটি পাস করা গেলে দেশের ভাগ্য বিড়ম্বিত শিশুদের রক্ষা করা সম্ভব হবে।’
জাতীয় সংসদের মিনিস্টার হোস্টেলের আইপিডি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্লামেন্টারিয়ান ককাস অন চাইল্ড রাইটস এর চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। এতে বক্তব্য রাখেন— সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান, আরোমা দত্ত, আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী, সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, কাজী কানিজ সুলতানাসহ বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা।
খসড়া আইনটি প্রণয়নে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ও গার্লস অ্যাডভোকেসি অ্যালায়েন্স সহায়তা করেছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘এই আইনটি সাজিয়ে-গুছিয়ে পাস করা গেলে শিশুদের যৌন হয়রানিসহ যেকোনও হয়রানি থেকে রক্ষা করতে পারবো। যত দ্রুত এটি পাস করা যাবে, ততই ভাগ্যাহত শিশুদের মঙ্গল হবে।’
ডেপুটি স্পিকার এ বিলটি সরকারি বিলে পরিণত করার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন। এর আগে সংসদের ড্রাফটিং উইংয়ের মাধ্যমে যাচাই ও আরও এক বা একাধিক দফায় বৈঠক করে এর খুঁটিনাটি দিক বিশ্লেষণ করার কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে শামসুল হক টুকু বলেন, ‘বর্তমান সরকার বহুমুখী আইন প্রণয়ন ও তা কার্যকর করলেও দেশে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। নারী-শিশুদের প্রতি নির্যাতন ও বিদেশে পাচার হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় কন্যা শিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের প্রতিনিধি নাসিমা আক্তার জলি আইনটির বিভিন্ন দিন তুলে ধরেন। প্রস্তাবিত আইনটিতে ২৮টি ধারা, ৫টি প্রস্তাবনা ও ২টি তফসিল রয়েছে।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা প্রস্তাবিত আইনে তৃতীয় লিঙ্গ ও পুরুষ শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন এবং নারীদের দ্বারা শিশুদের যৌন নির্যাতনের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়।