চলতি বছরের পয়লা অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর সাতটি ধারা বাতিল বা প্রত্যাহার চেয়ে সরকারকে আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে ওই আইনের ৫(২), ২৪(১,৩), ৩৫, ৩৯(১,২), ৪২(১,২,৪), ৫১(৪) এবং ৫৫ ধারা বাতিল বা প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে নোটিশদাতা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন।
রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আজ রোববার (১৩ অক্টোবর) হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এ নোটিশ পাঠান।
জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি সচিবালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব এবং আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবের কাছে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশ পাঠানোর পর অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর অফিসিয়াল গেজেটে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ প্রকাশিত হয়। ওই আইনের বিভিন্ন ধারা যথা- ৫(২), ২৪(১,৩), ৩৫, ৩৯(১,২), ৪২(১,২,৪), ৫১(৪) এবং ৫৫ এর বিধানাবলীতে সরকারি চাকরিজীবীদের বিভিন্ন অধিকারের তারতম্য ঘটিয়ে এবং বিদ্যমান বিভিন্ন আইনের শর্তাবলীর ব্যতয় ঘটিয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ১ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর করা হয়।
‘আইনটির ধারা ৫(২) এ সরকারি কর্মচারীদের কাজের শর্তাবলী তারতম্যের বিধান করা হয়েছে। ধারা ২৪(১) এবং ৪২(১,২) এ আদালত অবমাননা আইনের বিধানের বিপরীতে বিধান করে আদালত অবমাননার আইনকে অকার্যকর করা হয়েছে। অন্যদিকে ধারা ৩৯ এ ফৌজদারি মামলার অভিযুক্ত কোনো কোনো সরকারি কর্মচারীকে বরখাস্তের বিষয়ে বিদ্যমান আইনের বরখেলাপ করে সরকারের হাতে অবাধ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, এছাড়া ধারা ৫১(১) এ দণ্ডপ্রাপ্ত /অসদাচরণে দোষী সাব্যস্ত কোনো সরকারি কর্মচারীর অবসর সুবিধা বাতিলের বিধান রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ না রেখে ধারা ৩৫ এর বিধান করা হয়েছে।
মনজিল মোরসেদ বলেন, এসব বিধানাবলী সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ ও ৩১ অনুচ্ছেদসহ বিদ্যমান অনেক আইনের ব্যতয় ঘটিয়ে করা হয়েছে।